ভারতীয় হিসেবে ভারতে বাস করতে ও ভারতের জন্য কাজ করতে হবে আমাদের। কিন্তু আমরা যে বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের অন্তর্গত এবং অন্য দেশে বসবাসকারী মানুষেরাও যে আমাদের ভ্রাতৃতুল্য---এ কথাটা আমাদের কোনোভাবেই ভোলা উচিত নয়। যদি বিশ্বের সকল মানুষ সুখী ও সন্তুষ্ট হয়, তাহলে তা হবে এরকম চমৎকার জিনিস। কাজই বিশ্বকে বাসের উপযোগী সুখীতর জায়গা হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা আমাদের করতে হবে।
কিছু লোক সময়ের মূল্য জানে না। তারা পুরোপুরি বুঝতে পারে না যে, সময় একবার চলে গেলে আর কখনও ফেরে না। তারা ভাবে এভাবে : 'সামান্য সময় অপচয় হলে আমাদের সামনে পড়ে থাকা বিশাল জীবনে ওটা কোনো ব্যাপারই নয়। যে কাজগুলো আজ শেষ হল না, কোনো ব্যাপার, আগামীকাল সেগুলো করে ফেলব।' তাদের ধারণা করা উচিত আগামীকালের জন্য কোনো কিছু পড়ে থাকলে, তা ফের করা কঠিন হয়। আগামীকাল নতুন কাজ এসে যায়, সেগুলো শেষ করার পর আজকাল অসমাপ্ত কাজ গ্রহণ করার যথেষ্ট সময় থাকে না।
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সরকার যখন কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তগ্রহণ করেন, জ্ঞান অনুসন্ধানের উৎকর্ষ বিধানের উদ্দেশ্য তখন ছিল না, তাৎক্ষণিক লক্ষ্য ছিল অধিক বাস্তবসম্মত ও সীমিত। ভারতীয় ব্রিটিশ প্রশাসনের প্রয়োজন ছিল এদেশীয় শিক্ষিত মানুষকে সরকারের নিম্নস্থ পদে কাজে লাগানো। কিন্তু ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই আদিম লক্ষ্যকে অতিক্রম করেছিল এবং নিজের আদর্শের লক্ষ্য 'শিক্ষার অগ্রগতি'-র বিষয়কে অনুপ্রাণিত করতে শুরু করেছিল।
আমাদের দেশের সুদূর উত্তরে হিমালয় নামে এক দীর্ঘ পর্বতমালা আছে। এই পর্বতসমূহের উচ্চ শিখর সবসময় তুষারে ঢাকা। পর্বতমালার পাদদেশে আছে অতিশয় বেগবতী নদী। অরণ্যের বৃক্ষরাজি দীর্ঘকায় ও ঘনসন্নিবদ্ধভাবে জন্মায়। হিমালয়ের অরণ্যে অনেক বন্য জীবজন্তু, যেমন বাঘ, ভাল্লুক ইত্যাদি দেখা যায়। গাছে বাস করে হাজার হাজার বানর ও পাখি।
সত্তরের দশক থেকে আমাদের দেশ যে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হয়ে আসছে, সেগুলির অন্যতম হল ছাত্রদের মধ্যে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলতার সমস্যা। ছাত্রদের মধ্যে উদ্ভুত এই অস্থিরতা শুধু ভারতে সীমাবদ্ধ নয়, তা বিশ্বঘটনাতে পর্যবসিত হয়েছে। একে যদি প্রতিরোধ করা না হয়, তাহলে এটি জাতীয় অস্তিত্বের কাঠামোকেই গ্রাস করবে। ছাত্রদের এই নৈরাশ্য ও বিষাদ ভাবের ব্যাপকতা আসলে জনগনের মধ্যে সঞ্চারিত সাধারণ অতৃপ্তি ও অসন্তোষের প্রতিফলন ছাড়া আর কিছু নয়।
মানুষ তার ভাগ্যের স্রষ্টা। শ্রম করতে ভয় পেলে আমরা জীবনে উন্নতি করতে পারব না। কিছু মানুষ ভাবে সুযোগ কিংবা সৌভাগ্যের উপর জীবনের সাফল্য নির্ভর করে। সত্যের অপলাপ ছাড়া এটা আর কিছু নয়। গ্রামোফোন,রেডিয়ো, টেলিভিশন যা আমাদের জীবনের আনন্দবর্ধন করে, সেগুলির আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা দিনরাত্রি কঠোর পরিশ্রম করেন। জীবন গোলাপের শয্যা নয়। শ্রম যে সাফল্যের রহস্য তা শুধু ব্যক্তির ক্ষেত্রে নয়,জাতির ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য।
77 videos|109 docs
|
|
Explore Courses for WBCS (West Bengal) exam
|